এই ভুলগুলির জন্য প্রকল্পের টাকা আসবে না অনেকের – কিভাবে সমাধান করবেন? 

পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদন করেছেন যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি। কিন্তু সামান্য কিছু ভুলের জন্য অনেকেই পাচ্ছে না টাকা। কোন কোন ভুলগুলি হয়তো আপনারা নিজেদের অজান্তেই করে ফেলেছেন এবং কিভাবে সেগুলির সমাধান করবেন সমস্ত কিছু বিস্তারিত আলোচনা করলাম। 

 ভুল ডকুমেন্ট জমা দেওয়া বা অনুপযুক্ত স্ক্যান কপি

অনেক সময় আবেদনকারীরা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল ডকুমেন্টস জমা করে ফেলেন, সেক্ষেত্রে তথ্য যাচাই এর সময় সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অনলাইনে আবেদনের সময় আবেদনকারীরা সে ডকুমেন্টস এর স্ক্যান কপি আপলোড করে সেগুলি স্পষ্ট হয় না। এতেও ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে হয়ে ওঠে না। 

এই ভুল এড়াতে আবেদন ফর্মে উল্লিখিত ডকুমেন্টস এর ফটোকপি জমা করুন। জমা অথবা আপলোড করার আগে সঠিক ডকুমেন্টস আপলোড করছেন কিনা যাচাই করুন। অনলাইনে আপলোডের সময় স্পষ্ট কপি PDF অথবা JPG ফরমেট আপলোড করুন।

প্রকল্পের যোগ্যতা না বুঝে আবেদন

বিভিন্ন রকম প্রকল্পের বিভিন্ন রকম যোগ্যতা রয়েছে। কিছু প্রকল্প শুধু SC/ST দের জন্য, কিছু প্রকল্প শুধু মহিলাদের জন্য এবং কিছু প্রকল্পের বয়সসীমা ১৮-৩০। প্রতিটা প্রকল্পের আবেদনের যোগ্যতা সঠিকভাবে পড়ে নিয়ে তারপর আবেদন করবেন। বুঝতে না পারলে সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে সাহায্য নিন। 

ভুল তথ্য প্রদান (বয়স, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক ডিটেইল)

ছোট ভুল যেমন বয়স এক বছর কম-বেশি লেখা, ঠিকানায় PIN কোড ভুল – এগুলি আবেদন বাতিল করতে পারে। আবেদন করার আগে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড দেখে সঠিক তথ্য লিখুন। যদি আধার বা ভোটার কার্ডে ভুল থাকে, সংশোধন করে তবেই আবেদন করুন। 

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নামের অমিল

অনেক সময় আবেদনকারীরা নিজের নামে ব্যাংক একাউন্টের বদলে বাড়ির অন্য সদস্যের ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে দেন। এতে কিন্তু আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। তাই অবশ্যই নিজের সঠিক নামের ব্যাংক একাউন্ট দিবেন। যদি আপনার নামে ব্যাংক একাউন্ট না থাকে, তবে নিজের নামে সঠিক ব্যাংক একাউন্ট খুলে তারপর আবেদন করুন। 

ফোন নম্বর ভুল দেওয়া বা পরিবর্তন হওয়া

আবেদনের সময় অনেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল ফোন নম্বর দিয়ে ফেলে। এর ফলে প্রকল্প সংক্রান্ত SMS আসতে সমস্যা দেখা দেয়। আবেদন ফর্মে সবসময় নিজের সক্রিয় মোবাইল নম্বর ব্যবহার করুন।

Leave a Comment