লক্ষীর ভাণ্ডার নতুন বছরে নতুন নিয়ম । Lakshmir Bhnadar New Update

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে চালু হতে চলেছে কিছু নতুন নিয়ম। ২০২৫ সালে এই নিয়মগুলি না মানার জন্য অনেকেই টাকা পাবে না। কি কি সেই নিয়ম? জানতে বিস্তারিত দেখুন। 

মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন ২০২১ সালে। রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তার জন্য চালু করা হয় এই প্রকল্প। বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২ কোটিরও বেশি মহিলা সুবিধা পাচ্ছেন। এই প্রকল্পের অধীনে ST/SC মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে আর্থিক অনুদান পান।

কারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পাবে?

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সূচনা করা হয় পাচিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলারা যাদের বয়স ২৫-৬০ এর মধ্যে তারাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পেতে পারবেন। তবে এই টাকা পেতে হলে মানতে হবে কিছু খুবই গুরুত্বপুর্ণ নিয়ম। 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নিয়ম

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বেশ কিছু নতুন নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো আপনাদের জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা পেতে হলে হলে মহিলাকে পশ্চিমবঙ্গের বসবাসী হওয়ার পাশাপাশি বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। 

এই প্রকল্পটি রাজ্যের আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের জন্য, তাই কোনো মহিলা যদি কোনো সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরি করেন তবে আবেদন করতে পারবে না।

যেসকল মহিলাদের পরিবারে আয়কর(Income Tax) প্রদানকারী সদস্য আছেন অথবা মহিলা যদি পেনশন প্রাপক হন, তবে এই প্রকল্পে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

জেনারেল সম্প্রদায়ের মহিলারা যদি ২ হেক্টরের বেশি জমির মালিক হন, তবে আবেদন করতে পারবেন না। 

এগুলির পাশাপাশি সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, সেটি হলো আবেদন করার সময় অবশ্যই মহিলার নামে থাকা Single Bank Account জমা দিতে হবে। স্বামীর সাথে বা অন্য কারোর স্যাথে জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্ট দিলে আবেদন পত্র গ্রহণ করা হবে না। আর ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার কার্ড অবশ্যই লিংক থাকতে হবে।

আপনার ব্যাংকে আধার কার্ড লিংক আছে কিনা একবার চেক করে নেবেন, নাহলে ২০২৫ সাল থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা আর ঢুকবে না।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে? 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আবেদনপত্রের সাথে কিছু খুবই গুরুত্বপুর্ণ ডকুমেন্টস জমা করতে হবে। সেগুলি হলো – স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, ST/SC সার্টিফিকেট (যদি লাগে), ব্যাংকের পাসবইয়ের জেরক্স এবং আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ফটো। 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন? 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। সেখানে একটা ফর্ম দেওয়া হয়, সেটি পূরণ করে সাথে উপরে উল্লিখিত ডকুমেন্টগুলো নিয়ে জমা দিতে হয়। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প না বসলে বিডিও অথবা এসডিও অফিসে গিয়ে জমা করতে হবে। 

উপসংহার

এই নিয়মগুলি যদি সঠিকভাবে পালন করেন তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, ২০২৫ সালের জানু়ারিতেও নিয়মিত টাকা পাবেন। যেমন তাকে পেয়ে আসছে। তেমনি ১০০০/১২০০ টাকা ঢুকে যাবেন আপনাদের ব্যাংকে।

Leave a Comment